ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় একটি আম গাছের ডালে ঝুলছিল গলায় নাইলনের রশি পেঁচানো আফজাল মোল্যা ওরফে লাখু মোল্যা (৭৫) নামে এক কৃষকের মরদেহ।
খবর পেয়ে আজ শুক্রবার সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার ইউসুফদিয়া উত্তর পাড়ার ভদ্রপাড়া নামক এলাকা থেকে ওই কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত লাখু মোল্যা একই এলাকার মৃত সমুজুদ্দিন মোল্যার ছেলে। তবে তিনি মানসিক রোগে ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন লাখু মোল্যার মেজো ছেলে কাাইয়ূম মোল্যা।
কাইয়ূম মোল্যা জানান, তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন। এছাড়া সে স্থানীয় ইউসুফদিয়া মোল্যাবাড়ি জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন। সে পাঁচ ওয়াক্ত জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করতেন। সে কারো সঙ্গে কখনো বিবাদে জড়াতেন না।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, লাখু মোল্যা দীর্ঘদিন যাবৎ মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং মাঝে মাঝেই নির্জন জঙ্গল ও জমির মাঠে গিয়ে একাকী গিয়ে ঘুমিয়ে থাকতেন। ঘটনার দিন তার নিজের ঘরের দরজা বাইরে থেকে আঁটকিয়ে তার নিজের বাড়ি থেকে কয়েক বাড়ির পরে এসে একটি আম গাছের ডালের সঙ্গে গলায় নাইলনের রশি দিয়ে পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এব্যাপারে সালথা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আওলাদ হোসেন বলেন, লাখু মোল্যা দীর্ঘদিন মানসিক রোগে ভুগছিলেন। মাঝেমধ্যেই বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে বিভিন্ন মাঠেঘাটে শুয়ে থাকতেন। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে সে আত্মহত্যা করেছেন।
এব্যাপারে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা (ইউডি) দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানান থানা পুলিশের এ ওসি।