আজ জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস। ‘সুস্বাস্থ্যের মূলনীতি, নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্যবিধি’এই প্রতিপাদ্য নিয়ে “সু-স্বাস্থ্যের মূলনীতি, নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্যবিধি” প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ বুধবার ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ পালিত হবে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস। ট্রান্সফ্যাট মুক্ত খাবার নিশ্চিত করতে সব ধরনের ফ্যাট, তেল এবং খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ সীমা মোট ফ্যাটের ২ শতাংশ নির্ধারণ করে প্রবিধানমালা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্র্তৃপক্ষ। এটি বাস্তবায়ন হলে ট্রান্সফ্যাটঘটিত হৃদরোগ ঝুঁকি কমবে বলে জানিয়েছে তারা। ট্রান্স ফ্যাটি এসিড (টিএফএ) বা ট্রান্সফ্যাট একটি বিষাক্ত খাদ্য উপাদান যা হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপসহ নানাবিধ অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘মেধা-মননে উৎকর্ষ ও কর্মক্ষম একটি জাতি গঠনে সব মানুষের জন্য নিরাপদ এবং পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করাই হোক জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসে আমাদের সবার অঙ্গীকার।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, ‘নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তি মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের এই অধিকার পূরণকল্পে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’ খবর বাসসের।
জানা যায়, খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের প্রধান উৎস পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল (পিএইচও), যা ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে পরিচিত। সাধারণত বেকারি পণ্য, প্রক্রিয়াজাত ও ভাজাপোড়া খাবার এবং হোটেল-রেস্তোরাঁ ও সড়কসংলগ্ন দোকানে বিভিন্ন খাবার তৈরিতে ডালডা ব্যবহৃত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে ট্রান্সফ্যাটঘটিত হৃদরোগে মৃত্যুর সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। দেশে হৃদরোগজনিত মৃত্যুর ৪.৪১ শতাংশের জন্য দায়ী ট্রান্সফ্যাট।’
জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে এক প্রতিক্রিয়ায় গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞার (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, ‘আমরা ট্রান্সফ্যাট মুক্ত নিরাপদ খাদ্য চাই। জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।’