পৃথিবীতে অহেতুক হানাহানি, দ্বন্দ্ব-সংঘাত, ন্যায়-অন্যায়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ-বিগ্রহে বহু দেশ ও জাতি ধ্বংসের পথে চলেছে। তাই মানবতার বৃহত্তর স্বার্থে মধ্যপ্রাচ্যে বিরাজমান যুদ্ধ সংকটের আশু নিরসনের জন্য শান্তিপূর্ণ সমঝোতায় উপনীত হয়ে চূড়ান্ত যুদ্ধবিরতি অনিবার্য হয়ে পড়েছে। যেখানে সংলাপ-সমঝোতা চলে না বা বন্ধ থাকে সেখানেই শুরু হয় বলপ্রয়োগ, সংঘাত, রক্তপাত, সন্ত্রাস, সহিংসতা, হানাহানি, দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার, মানবাধিকার লঙ্ঘন, ব্যক্তিস্বাধীনতা হরণ, ক্ষমতার মোহে দম্ভ-অহমিকা, প্রতিহিংসা প্রদর্শন এবং অনাকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধ-বিগ্রহ।পুরো পৃথিবীর দিকে তাকান। দেখুন, নদীর পানিতে কতটা দূষণ ধরেছে, বিশ্বব্যাপী কতগুলো নদী বিলীন হয়ে গেছে, কতটুকু বন উজাড় হয়েছে, বাতাসের তাপমাত্রা কতটা বেড়েছে, সামগ্রিকভাবে প্রকৃতি কতটা দূষণ হয়েছে। বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বলে দেখুন, জানতে পারবেন প্রকৃতি দূষণে পুরো বিশ্বে কী ধরনের প্রভাব পড়বে। আমরা ভালো করেই জানি, অস্তিত্বহীন মানুষ হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ানক মারণাস্ত্র, আত্মঘাতী হামলাসহ যে কোনো ধরনের আঘাত করতে ওরা মরিয়া হয়ে ওঠে। ওদের লক্ষবস্তু আর কিছু নয়, সাধারণ মানুষের জীবন! পৃথিবী দিন দিন হয়ে উঠছে শুধু ব্যক্তি কেন্দ্রিক ব্যবসা কেন্দ্র, অথচ পৃথিবীর থাকার কথা সুন্দর একটি প্রাণকেন্দ্র হয়ে! দিনে দিনে সাধারণ মানুষের জীবন জিম্মি হয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রের কাছে! একই সঙ্গে পৃথিবীতে দেখা যাচ্ছে শোষণ এবং বিত্তশালীদের ভোগবিলাসের মহোৎসব! সবচেয়ে দুর্ভাবনার এবং আতঙ্কের বিষয় হলো বিশ্ববাজারে নারীকে এখনও পণ্য হিসেবে কিনতে পাওয়া যায়। যে নারীর গর্ভে আমাদের জন্ম, সেই নারী এখন ব্যবসায়িক পণ্য হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো, বিশ্বব্যাপী কিছু কিছু নারীকে এভাবেই ব্যবহার করা হচ্ছে।শিশু থেকে বৃদ্ধের অনেকেই এই বিকৃতির শিকার!
বিশ্বব্যাপী সমাজগুলোতে দেখা যাচ্ছে নারীকে ঘিরে নানা অনাচার ও দুর্ঘটনা! দায়িত্বজ্ঞানহীন স্বাধীনতার নামে নারী ও পুরুষ দুটো দলই হয়ে যাচ্ছে বিভ্রান্ত। ইন্টারনেট ও মিডিয়া জগতের যথেচ্ছ ব্যবহারে মানসিক ও শারীরিক বিকৃতি ছড়িয়ে যাচ্ছে দিন দিন। ফলে বিশ্বব্যাপী দেখা যাচ্ছে নারী-পুরুষের সম্মিলিত শারীরিক ও মানসিক অপরাধ প্রবণতা, নারী বা পুরুষ কেউই যেন কারোর কাছে নিরাপদ নয়!অন্যদিকে যথার্থ স্বাস্থ্য জ্ঞানের অভাবে মানুষ জড়িয়ে যাচ্ছে অনিরাপদ খাদ্যাভ্যাসে। বিশ্বের মধ্যে স্থূলতা নামে নতুন একটি মহামারি খুবই আসন্ন হয়ে পড়েছে। এখানেও ব্যবসায়ী মহলসহ রাষ্ট্র, মিডিয়া, ইন্টারনেট এবং মাদক ভীষণভাবে দায়ী। মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সব ধরনের অপরাধ। একই সঙ্গে পৃথিবীটা হয়ে পড়েছে অস্ত্র ও অবৈধ অস্ত্রের পাইকারি বাজার!শিক্ষার অভাব ও অর্থলিপ্সার সঙ্গে যখন মানসিক ভারসাম্যহীনতা যোগ হয়, তখন একটি অস্ত্রই হয়ে ওঠে মানবতার জন্য চরম হুমকি ও বিশ্বের অনেক দেশকেই প্রতিনিয়ত এর খেসারত দিতে হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী চোরাচালান যেন বৈধতা পেয়ে যাচ্ছে, এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সীমান্ত হত্যা। কিন্তু কোনো মৃত্যুই যেন আমাদের মনে দাগ কাটছে না। যেখানে অস্বাভাবিক একটি মৃত্যুই মানবতার ভিত নাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট হওয়ার কথা।পৃথিবী ক্রমে ক্রমে বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে। এর প্রধান কারণ মানুষের ভেতর প্রকৃত সু-শিক্ষার অভাব।বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানুষকে যথার্থ সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে এবং প্রকৃতির ভারসাম্যের দিকে নজর দিতে হবে। সাধারণের মধ্যে সু-শিক্ষার বোধ জাগিয়ে তুলতে হবে। তাদের বুঝাতে হবে, শুধু বিশ্বের নেতারাই নেতা নন, এই বিশ্বের প্রতিটি মানুষই এক-একজন বিশ্বনেতা। বিশ্বনেতা মানেই শুধু ক্ষমতার প্রয়োগ আর ক্ষমতার অপ্রয়োগ নয়।
সবারই মনে রাখতে হবে, বিশ্বনেতা হতে হলে পৃথিবীর যত্ন নেওয়া শিখতে হবে, বিশ্বনেতা মানেই মানুষের সঙ্গে অন্যান্য প্রাণী অর্থাৎ পুরো প্রকৃতির যত্ন নিতে শিখা।নিজে আলোকিত হয়ে উঠতে হবে, বিশ্ববাসীকে আলোকিত করে জাগিয়ে তুলতে হবে।সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে যিনিষটা সেটা হলো সু- শিক্ষাসহ সব ধরনের মৌলিক অধিকার মানুষের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। যে অস্থিরতার কারণে মানুষ নিজের দেশেই যেমন অসহায়, তেমনি অন্যদের জন্য যেন আতঙ্ক না হয়ে উঠতে পারে, তার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, এই পৃথিবীটা সবার, অন্যের স্বস্তি নিশ্চিত করে সুন্দরভাবে বাঁচার অধিকার প্রতিটি মানুষেরই আছে। নিজ নিজ দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সচেষ্ট হতে হবে। সমন্বয়ের সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত সম্পদ ব্যবহারেও সচেষ্ট হতে হবে। চোরাচালান এবং মাদকের ব্যাপারে সম্মিলিত ভাবে কঠোর হতে হবে। যে করেই হোক, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, এই সুন্দর পৃথিবীটা কোনো যুদ্ধক্ষেত্র নয়, এই সুন্দর পৃথিবীটা হলো প্রাণের আবাসস্থল! আগামী বছরগুলোর মধ্যে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার জন্য সম্মিলিত উদ্যোগের এটাই সময়। প্রকৃতির যে দূষণ এবং ক্ষতি এত বছর ধরে হয়েছে, এই দূষণ এবং ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার সহজ এবং দ্রুত কোনো পদক্ষেপ ফলপ্রসূ হবে না।দরকার বৈশ্বিক উদ্যোগ। একই সঙ্গে নিজ নিজ দেশের প্রতিটি মানুষের মধ্যে জাগিয়ে তুলতে হবে দায়িত্ববোধ এবং আশার আলো, তারাও যেন নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশ্বনেতার দায়িত্ব পালন করতে পারে। তাই-তো বলি,আমাদের সম্মিলিত উদ্যোগে অচিরেই দেশের তথা পৃথিবীর প্রাণ হয়ে উঠবে স্বতঃস্ম্ফূর্ত, দূষণ থেকে মুক্তি পেয়ে প্রকৃতি ফিরে পাবে তার পুরোনো জৌলুস। আর সু-শিক্ষার আলোতে প্রতিটি মানুষই হয়ে উঠবে এক-একজন সহনশীল এবং মানবিক বিশ্বনেতা। করোনা মহামারির চেয়ে বিশ্বে ক্ষমতার প্রয়োগের মহামারি মানুষের ধ্বংসের জন্য বেশি দায়ী।
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কার্যকরভাবে মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হচ্ছে। তবে মানুষের মনে যে অশান্তির বীজ রোপিত হয়েছে তা থেকে মানুষ কি কোনোদিন বেরিয়ে আসতে পারবে? তা করতে হলে নিজেকে নিজের জায়গা থেকে একটু সরে আসতে হবে। আর শক্তিমত্তা যাচাইয়ে মানুষ তা কোনো দিনই করবে বলে মনে হয় না। সামরিক খাতে নতুন নতুন অস্ত্র যোগ করা এবং বিশ্ব প্রতিযোগিতা য় নিজেকে উপযুক্ত করে গড়ে তোলা এখন প্রতিযোগিতা মূলক বিশ্বের প্রবণতা। প্রত্যেকেই যার যার মতো করে নিজের সুরক্ষায় ব্যস্ত। এক্ষেত্রে কোনো দেশই পিছিয়ে থাকতে চাইছে না। প্রতিটি দেশেরই বহিঃশত্রুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার থেকেই নিজেকে সুরক্ষার প্রচেষ্টা করে। দুর্বল বা সবল কোনো দেশ এক্ষেত্রে ছাড় দিতে রাজি নয়। প্রয়োজনে মিত্র দেশের সঙ্গে জোটভুক্ত হয়েও নিজেকে সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত। যুদ্ধ আসলে মানব সভ্যতাকে কোনোদিনই ভালো কিছু দিতে পারেনি। যা দিয়েছে তা হলো মানবিক যন্ত্রণা যা দীর্ঘ মেয়াদে নারী-পুরুষ ও শিশুরা ভোগ করছে। দিয়েছে অশান্তি যার আগুনে পুড়েছে পুরো মানবসভ্যতা। অসংখ্য মানুষ তাদের বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তারা আজ আশ্রয়হীন হয়ে পরাধীন জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। অথচ তাদের দায় কেউ নিচ্ছে না।যুদ্ধ এবং শান্তি পরস্পর বিপরীতমুখী প্রক্রিয়া। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বর্তমান বিশ্বে দুটি বিষয়ই পাশাপাশি চলছে। এক দিকে একে অন্যকে আক্রমণাত্মক বক্তব্য ছুড়ছে অন্য দিকে শান্তির বুলি। মানুষ আসলে কী চায় তা মনে হয় নিজেও জানে না। যুদ্ধ না শান্তি? অস্ত্র না মানবতা? এসব তো পাশাপাশি চলতে পারে না। প্রত্যেকেই সামরিক সক্ষমতা বাড়াতেই ব্যস্ত। এশিয়ায় শক্তিমত্তা বাড়িয়ে চলেছে চীন ও ভারত। এশিয়ায় নিজেদের প্রভাব বাড়াতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি মোকাবিলায় শি জিনপিংয়ের মেয়াদকালের শুরু থেকেই সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দিতে শুরু করে চীন। তাহলে বিশ্বের পরিণতি কী হবে?
সত্যিই মানুষ কত বোকা। যখন পৃথিবীর অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন ওঠে তখন কেবল নিজেকে রক্ষা করার জন্য বিপদমুক্ত করার জন্য অত্যাধুনিক সব মারণাস্ত্র তৈরিতে অর্থ ব্যয় করছি। এর থেকে অনেক বেশি জরুরি পৃথিবী বসবাসযোগ্য করা। পৃথিবীতে বহু মানুষ আজ আশ্রয়হীন, খাদ্য নিরাপত্তায় ভুগছে। বহু শিশু তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশগুলো পুনর্গঠন করা জরুরি। তারপরও মানুষ অস্ত্র প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অস্ত্রের জন্ম হচ্ছে। বিশ্ব এখন প্রবেশ করেছে হাইপারসনিক যুগে। সম্প্রতি ভারতও এ খাতায় নাম লিখিয়েছে। কিন্তু পৃথিবী আজ যেসব কারণে হুমকি তা ঠেকানোর মতো কোনো অস্ত্র আবিষ্কৃত হয়নি। কথা হলো নগর যদি পুড়ে যায় তাহলে দেবালয় কি বাঁচানো যায়? ধ্বংস দিয়ে শান্তি আনা যায় না। শান্তির জন্য ক্ষমতার বাতাবরণ ভেদ করতে জানতে হয়। এই প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে তা আর কোনো দিন হবে বলে মনে হয় না।আমরা মানুষ প্রকৃতিকে ক্ষতবিক্ষত করেছি আমাদের ক্রিয়া কর্মে। আমরা আণবিক পারমাণবিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে গিয়ে সাগর মহাসাগরের তলদেশ ঝাঁজরা করেছি, পাহাড় বনাঞ্চল কেটে তৈরি করেছি আবাসিক অট্টালিকা, বিপণিবিতান, শিল্প কারখানার বর্জ্যে নদী-সাগর প্রকৃতিকে করেছি দূষিত, অনিয়ন্ত্রিত কার্বন নির্গত করে বায়ুমণ্ডলকে করেছি দূষিত, ওজনস্তরকে করেছি ক্ষতিগ্রস্ত, বৃদ্ধি করেছি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা। ফলে অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি খরা, ঝড়, বন্যা আমাদের নিত্য সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজেই করোনা আমাদের কৃত কর্মেরই ফল। সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে করোনা প্রতিরোধক ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও প্রয়োগ নিয়ে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছে পৃথিবীর সব আদম সন্তানকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসলে মহামারি শিথিল হবে। কিন্তু ওই ভ্যাকসিন কোনো স্থায়ী সমাধান নয় একটা নির্দিষ্ট মেয়াদের প্রতিষেধক মাত্র।
আমাদের মনে রাখতে হবে,যতদিন পর্যন্ত আমরা প্রকৃতির ওপর অত্যাচার বন্ধ না করতে পারছি, ততদিন পর্যন্ত প্রকৃতি থেকে বিষাক্ত কিছু সৃষ্টি হবে আরও ভয়ঙ্কর জীবাণু, কিংবা করোনা অধিকতর ভয়ঙ্কর রূপে আত্মপ্রকাশ করে ধ্বংস করবে মানব সভ্যতা। যার হাত থেকে রক্ষা পাবে না কোনো রাষ্ট্রনায়ক, বিজ্ঞানী, পণ্ডিত, বুদ্ধিজীবী।এখনও সময় আছে, আমরা শক্তির উন্মাদনায় মত্ত হয়ে প্রতিনিয়ত অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতা ছেড়ে দিয়ে সমগ্র মানব জাতিকে একটা অখণ্ড মানব সম্প্রদায় ভাবি। যদি প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সম্পদ মেধা উৎসর্গ করে বিশ্বের সব পরিবেশ বিজ্ঞানী বিশে^র সব পর্যায়ের জ্ঞানী মহাজ্ঞানীদের চিন্তা-চেতনার ঐক্য ঘটিয়ে প্রকৃতি ও পরিবেশে একটা ভারসাম্য আনতে পারি। সব মানবমণ্ডলী যদি ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত সব অপরাধমুক্ত এক পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করি, তাহলেই আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম পেতে পারে করোনাসহ সব মহামারিমুক্ত, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এবং সব ধরনের অপরাধমুক্ত শান্তির পৃথিবী। মানুষের বাসযোগ্য সুন্দর ও শান্তির এক পৃথিবী।যুদ্ধের পরিণতি ধ্বংস ও সবর্নাশ। যুদ্ধে অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে; অগণিত ঘরবাড়ি জ্বলে পুড়ে ছাই হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে তথা মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ লোককে প্রাণ দিতে হয়েছে। পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষই অশান্তি চায় না শান্তি চায়। মানুষও সদা-সবর্দা শান্তি পিয়াসী। পৃথিবীর গণ মানুষ আজ শান্তি চায়, মনে প্রাণেই শান্তি চায়। তাই শান্তি মানুষের সত্য শুভ ও মঙ্গলজনক। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে, চাই-বৃহৎ শক্তিবগের্র শুভ বুদ্ধি, আর এ শুভ বুদ্ধি সবার একমাত্র প্রত্যাশা।বতর্মান বিশ্বের পরাক্রমশালী বিভিন্ন রাষ্ট্রের পারমাণবিক মরণ যুদ্ধকে আয়োজনে ত্রস্ত, শক্সিকত ও ভীত। তবুও আধুনিক মরণাস্ত্রের ধূমায়িত সমস্যার মধ্যেই শান্তির দীপ শিখাটি প্রজ্বলিত। রন দামামার ও শান্তির বাণী ধ্বনিত হয় যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই, মৃত্যু নয়, জীবন চাই। এটাই শান্তিকামী বিশ্ববাসীদের একমাত্র কাম্য।
রায়হান আহমেদ তপাদার: গবেষক ও কলামিস্ট