এখন থেকে করোনার টিকা নিতে পারবেন ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরাও। শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা অ্যাপেও আনা হয়েছে পরিবর্তন। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাতে সুরক্ষা অ্যাপে দেখা যাচ্ছে ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব ছাত্র-ছাত্রীদের টিকা নিবন্ধনের অপশন।
এর আগে টিকা নেয়ার জন্য সর্বনিম্ন বয়সসীমা ২৫ বছর নির্ধারণ করেছিল সরকার।
দেশে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড দিয়ে প্রথম গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়। মূলত ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ডের ওপর নির্ভর করেই বাংলাদেশে টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।
৮ ফেব্রুয়ারি করোনার টিকা নিতে নিবন্ধনের জন্য ৪০ বছর বয়সসীমা নির্ধারণ করে সরকার। সেদিন দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশনা দেন। এর আগে ৫৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।
ওই সময় টিকা নেয়ার জন্য ৪০ বছরের বেশি বয়সীরা ছাড়া শুধু চিকিৎসাসেবার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ব্যক্তি, পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীতে কর্মরত ব্যক্তিসহ করোনা মোকাবিলায় নিয়োজিত সম্মুখসারির যোদ্ধারা নিবন্ধন করতে ও টিকা নিতে পারছিলেন।
কিন্তু ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার পর দেশটি থেকে বাংলাদেশে টিকা রফতানি বন্ধ করে দেয়া হয়। এর প্রেক্ষাপটে ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর ৫ মে টিকার নিবন্ধনও বন্ধ করে দেয়া হয়।
নানা দিকে চেষ্টার পর আবারও টিকা আসা শুরু হলে জুলাই মাসে পুনরায় নিবন্ধন শুরু করে সরকার। নতুন করে শুরুর পরই নিবন্ধনের শর্তে পরিবর্তন আসতে থাকে। প্রথমে ৩৫ বছর, পরে ৩০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য টিকা উন্মুক্ত করা হয়। এরপর সম্মুখসারির যোদ্ধাদের পরিবারের ১৮ বছরের বেশি বয়সী সদস্যদেরও এর আওতায় আনা হয়।
এছাড়া নীতিমালায় পরিবর্তন এনে বিশেষ বিবেচনায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের শিক্ষার্থীদেরও নিবন্ধনের সুযোগ দেয়া হয়। এছাড়া গত ২৭ জুলাই স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্ধারিত বয়সসীমার ব্যক্তিরা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) থাকলেই টিকা নিতে পারবেন।
এরপর ২৯ জুলাই নতুন করে টিকা নেয়ার বয়সসীমা ২৫ বছর নির্ধারণ করা হয়। আর আজ টিকা নেয়ার বয়সসীমা ১৮ বছর নির্ধারণ করা হলো।