বগুড়ার ধুনট উপজেলায় নববধূর বাবার বাড়ি থেকে নান্নু মিয়া (৩০) নামে এক স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের আনারপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তবে পরিবারের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ গাছের ডালে ঝুলিয়ে রেখেছে।
নিহত নান্নু মিয়া উপজেলা সদরের চালাপাড়া চৈতারপাড়া গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
জানা যায়, নান্নু মিয়া প্রায় ৬ মাস আগে পাশের গ্রামের এক মেয়েকে বিয়ে করেছিল। কিন্ত এক মাস পরই তাদের বিচ্ছেদ হয়। এ অবস্থায় গত ২৮ এপ্রিল নান্নু মিয়া আনারপুর গ্রামের কালাম মণ্ডলের মেয়ে মিম খাতুনকে বিয়ে করে। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতেই অবস্থান করেন তিনি। ৩০ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর সাথে ঘুমিয়ে পড়েন নান্নু।
রাত দেড়টার দিকে ঘুম থেকে জেগে স্বামীকে বিছানায় খুঁজে পাননি নববধূ। পরে ঘরের পাশে গাছের ডালে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় নান্নু মিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। সংবাদ পেয়ে সোমবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নান্নু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নববধূ মিম খাতুন জানায়, আগে থেকে শারীরিক অক্ষমতার কারণে তার (নান্নু) মন খারাপ ছিল। এ অবস্থায় রাতে একই বিছানায় ঘুমিয়ে পড়ি। মাঝ রাতে ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখি স্বামী পাশে নেই। পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানালে তারা খোঁজাখুঁজির পর গাছের ডালে আমার স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। আমার স্বামী আত্মহত্যা করেছে। তাকে হত্যা করার অভিযোগ মিথ্যা।
নিহতের ছোট ভাই নাদু মিয়া বলেন, শারীরিক অক্ষমতার অভিযোগ তুলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার ভাইকে হত্যার পর লাশ গাছের ডালে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ হত্যা মামলা নেয়নি। তাই বগুড়া আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ইউডি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।