লক্ষ্মীপুরের বশিকপুরে সাবেক যুবলীগ নেতা নোমান-সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হত্যা মামলায় গ্রেফতার পাঁচ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর মধ্যে মশিউর রহমান নিশান ও রুবেল দেওয়ানের ৫ দিন এবং মো. সবুজ, আজিজুল ইসলাম বাবলু ও নাজমুল হোসেন নাজিমের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি অঞ্চল চন্দ্রগঞ্জ আদালতের বিচারক আনোয়ারুল কবীর এ আদেশ দেন। এছাড়া এ মামলায় মনির হোসেন রুবেল ও ইসমাইল হোসেন পাটওয়ারীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রিমান্ডপ্রাপ্ত নিশান বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক। অন্য আসামিরা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের কর্মী ও মামলার প্রধান আসামি আবুল কাশেম জিহাদীর অনুসারী বলে জানা গেছে। এর মধ্যে সবুজ ও বাবলুকে এর আগেও ২৮ এপ্রিল ৪ দিনের রিমান্ড দিয়েছিলেন আদালত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন বলেন, ৫ আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছি। আদালত ২ জনের ৫ দিন ও ৩ জনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। এর মধ্যে ২ জনকে দ্বিতীয়বারের মতো রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এদিকে অপর অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফয়সাল দেওয়ান নামে একজনকে রিমান্ড শুনানির অপেক্ষায় রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ২৫ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার এলাকায় যুবলীগ নেতা নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এসময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থল গিয়ে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা নোমানকে মৃত ঘোষণা করেন।
ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান তিনিও। ২৬ এপ্রিল রাত একটার দিকে নিহত নোমানের বড় ভাই ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম জিহাদীকে প্রধান করে ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলার পর থেকে র্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১০ আসামিকে গ্রেফতার করেছে।