১১:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলকে গুঁড়িয়ে দিতে ইরান যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে

ইরান আবারও দখলকৃত ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। শনিবার রাতে ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পস বা আইআরজিসিতের মহাকাশ ইউনিট এই অভিযান পরিচালনা করে।

ইরানি গণমাধ্যম বলছে, এই হামলায় ‘ইমাদ, গাদ ও খাইবার শেকান নামের আধুনিক ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে।

ইমাদ হচ্ছে গাদর ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিক ও নির্ভুল ওয়রহেডযুক্ত সংস্করণ। এটি প্রবেশ করার পর দিক ও গতি নিয়ন্ত্রন করতে পারে, যা লক্ষ্যবস্তুতে আরও নির্ভুল আঘাত হানতে সহায়তা করে। ২০১৫ সালের শেষ দিকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৫.৫ মিটার লম্বা ও ওজন প্রায় ১ হাজার ৭৫০ কেজিতে পৌঁছেছে। এর পাল্লা রয়েছে ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার পর্যন্ত।

অন্য দিকে গাদর হচ্ছে শাহাব-৩ ঘরানার মধ্যপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র যা ২০০৩ সাল থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি ২০০৫ সালে আধুনিকীকরণ করা হয়। গাদর রয়েছে তিনটি ধরনের—গাদর-এস, গাদর-এইচ ও গাদর-এফ। এগুলো ১ হাজার ৩৫০ কিলোমিটার থেকে শুরু করে প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। ওজন ও জ্বালানি ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন আনার মাধ্যমে এর নির্ভুলতা ও দূরত্ব বাড়ানো হয়েছে।

অন্যটি হচ্ছে খাইবার শেকান, যা মধ্যপাল্লার ও উচ্চ নির্ভুলতা সম্পন্ন। এটি ১ হাজার ৪৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে পারে এবং অ্যারো-৩ ও ডেভিড’স লিং-এর মতো আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অল্পতেই এড়াতে পারে। ঘন ঘন ব্যবহারের উপযুক্ত এই ক্ষেপণাস্ত্রটি কঠিন জ্বালানি ব্যবহারের কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুত করা যায়।

শনিবার রাতে শুরু হওয়া এই অভিযানটি ‘ইয়া আলী ইবন আবি তালিব’ নামে পরিচালিত হয়, যা ঈদ আল ঘাদীর সাথে সমন্বিত ছিল।

আইআরজিসির দাবি, এটি ছিল দখলকৃত অঞ্চলে তাদের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। এর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ও স্থাপনায় আঘাত করা হয়েছে।

ইরান বলছে, শুক্রবার ও শনিবার সকালে তেহরানে ও অপরাপর স্থানে যে হামলায় অনেক সেনা কমান্ডার ও সাধারণ মানুষ নিহত হন, এটা ছিল তারই জবাব।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

আপনিও পেতে পারেন ৯ কোটি টাকা থাকে যদি পুরনো ১ টাকার কয়েন

ইসরায়েলকে গুঁড়িয়ে দিতে ইরান যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে

আপডেট সময়ঃ ১২:৪২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

ইরান আবারও দখলকৃত ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। শনিবার রাতে ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পস বা আইআরজিসিতের মহাকাশ ইউনিট এই অভিযান পরিচালনা করে।

ইরানি গণমাধ্যম বলছে, এই হামলায় ‘ইমাদ, গাদ ও খাইবার শেকান নামের আধুনিক ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে।

ইমাদ হচ্ছে গাদর ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিক ও নির্ভুল ওয়রহেডযুক্ত সংস্করণ। এটি প্রবেশ করার পর দিক ও গতি নিয়ন্ত্রন করতে পারে, যা লক্ষ্যবস্তুতে আরও নির্ভুল আঘাত হানতে সহায়তা করে। ২০১৫ সালের শেষ দিকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৫.৫ মিটার লম্বা ও ওজন প্রায় ১ হাজার ৭৫০ কেজিতে পৌঁছেছে। এর পাল্লা রয়েছে ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার পর্যন্ত।

অন্য দিকে গাদর হচ্ছে শাহাব-৩ ঘরানার মধ্যপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র যা ২০০৩ সাল থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি ২০০৫ সালে আধুনিকীকরণ করা হয়। গাদর রয়েছে তিনটি ধরনের—গাদর-এস, গাদর-এইচ ও গাদর-এফ। এগুলো ১ হাজার ৩৫০ কিলোমিটার থেকে শুরু করে প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। ওজন ও জ্বালানি ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন আনার মাধ্যমে এর নির্ভুলতা ও দূরত্ব বাড়ানো হয়েছে।

অন্যটি হচ্ছে খাইবার শেকান, যা মধ্যপাল্লার ও উচ্চ নির্ভুলতা সম্পন্ন। এটি ১ হাজার ৪৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে পারে এবং অ্যারো-৩ ও ডেভিড’স লিং-এর মতো আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অল্পতেই এড়াতে পারে। ঘন ঘন ব্যবহারের উপযুক্ত এই ক্ষেপণাস্ত্রটি কঠিন জ্বালানি ব্যবহারের কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুত করা যায়।

শনিবার রাতে শুরু হওয়া এই অভিযানটি ‘ইয়া আলী ইবন আবি তালিব’ নামে পরিচালিত হয়, যা ঈদ আল ঘাদীর সাথে সমন্বিত ছিল।

আইআরজিসির দাবি, এটি ছিল দখলকৃত অঞ্চলে তাদের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। এর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ও স্থাপনায় আঘাত করা হয়েছে।

ইরান বলছে, শুক্রবার ও শনিবার সকালে তেহরানে ও অপরাপর স্থানে যে হামলায় অনেক সেনা কমান্ডার ও সাধারণ মানুষ নিহত হন, এটা ছিল তারই জবাব।