০৪:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বন্ধ সিম ফিরিয়ে আনুন ঘরে বসেই, লাগবে মাত্র ১ মিনিট!

অনেকেই হঠাৎ করে দেখেন, ফোনে নেটওয়ার্ক নেই—দেখাচ্ছে “No SIM Card”, “Emergency Call Only” বা “No Network”। ফলে কল, বিকাশ, রকেট বা ব্যাংক অ্যাপে ঢোকা—সব বন্ধ! কিন্তু চিন্তার কিছু নেই। এখন ঘরে বসেই মাত্র এক মিনিটে বন্ধ সিম চালু করা সম্ভব।

কেন সিম বন্ধ হয়ে যায়?

বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়েকটি প্রধান কারণে সিম বন্ধ হয়ে যেতে পারে—
দীর্ঘদিন ব্যবহার না করা: টানা ১৫ মাস কোনো কল, এসএমএস বা রিচার্জ না হলে অপারেটর সিম বন্ধ করে দিতে পারে।
এনআইডি যাচাই না থাকা: সিমটি যদি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের সঙ্গে বায়োমেট্রিকভাবে না মেলে, অপারেটর সেটি বন্ধ করে দেয়।
নেটওয়ার্ক বা টেকনিক্যাল সমস্যা: অনেক সময় ফোনের সেটিংস বা সার্ভারজনিত কারণে সিম নেটওয়ার্ক পায় না।

ঘরে বসে সিম চালু করার সহজ উপায়

👉 প্রথমে ফোন থেকে সিম খুলে পরিষ্কার করে পুনরায় লাগান।
👉 এরপর Settings → Backup & Reset → Network Reset Settings-এ যান।
👉 যে সিমটি ব্যবহার করছেন সেটি সিলেক্ট করে “Reset Settings”-এ ক্লিক করুন।
👉 এখন ফোনটি Reboot/Restart করুন।
👉 ফোন চালু হলে নেটওয়ার্ক ফিরে আসবে। যদি না আসে, তাহলে সামান্য রিচার্জ করে দেখুন।

এরপরও কাজ না করলে কী করবেন

যদি সিম এখনও সাড়া না দেয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার-এ কল দিন (অন্য একটি সক্রিয় সিম ব্যবহার করে)।
কলের সময় আপনার এনআইডি, নাম, জন্মতারিখ ও বন্ধ সিমের নম্বর হাতে রাখুন।
কাস্টমার কেয়ার যাচাই করে জানাবে, আপনার সিমটি পুনরায় চালু করা সম্ভব কি না।

সিম রিপ্লেস করলেই সমাধান

যদি সিমটি কোম্পানির নামে বিক্রি না হয়ে থাকে, তাহলে “সিম রিপ্লেস” করে আগের নাম্বারেই নতুন সিম পাবেন।
এতে আপনার বিকাশ, রকেট, ব্যাংক একাউন্টসহ সব সংযোগ অক্ষুণ্ণ থাকবে—শুধু পুরোনো সিম কার্ডটি নতুন করে তুলে নিতে হবে।

কত টাকা লাগবে?

অফিশিয়ালি সিম রিপ্লেসের খরচ ৩৫০ টাকা, তবে দোকানভেদে ভাড়া ও সার্ভিস চার্জসহ ৪০০ টাকাও লাগতে পারে।

সারসংক্ষেপ

১৫ মাসের কম সময় বন্ধ থাকলে নিজেই চালু করা যায়।

১৫ মাসের বেশি হলে কাস্টমার কেয়ার বা অফিসে গিয়ে রিপ্লেস করতে হয়।

রিপ্লেসের পর পুরোনো নাম্বার ও অ্যাকাউন্ট সব আগের মতোই থাকবে।

সতর্ক থাকুন: আপনার এনআইডি দিয়ে রেজিস্টার করা সিম ব্যবহারে থাকুন। এতে বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে।

 

ট্যাগ

বন্ধ সিম ফিরিয়ে আনুন ঘরে বসেই, লাগবে মাত্র ১ মিনিট!

আপডেট সময়ঃ ১২:০২:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

অনেকেই হঠাৎ করে দেখেন, ফোনে নেটওয়ার্ক নেই—দেখাচ্ছে “No SIM Card”, “Emergency Call Only” বা “No Network”। ফলে কল, বিকাশ, রকেট বা ব্যাংক অ্যাপে ঢোকা—সব বন্ধ! কিন্তু চিন্তার কিছু নেই। এখন ঘরে বসেই মাত্র এক মিনিটে বন্ধ সিম চালু করা সম্ভব।

কেন সিম বন্ধ হয়ে যায়?

বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়েকটি প্রধান কারণে সিম বন্ধ হয়ে যেতে পারে—
দীর্ঘদিন ব্যবহার না করা: টানা ১৫ মাস কোনো কল, এসএমএস বা রিচার্জ না হলে অপারেটর সিম বন্ধ করে দিতে পারে।
এনআইডি যাচাই না থাকা: সিমটি যদি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের সঙ্গে বায়োমেট্রিকভাবে না মেলে, অপারেটর সেটি বন্ধ করে দেয়।
নেটওয়ার্ক বা টেকনিক্যাল সমস্যা: অনেক সময় ফোনের সেটিংস বা সার্ভারজনিত কারণে সিম নেটওয়ার্ক পায় না।

ঘরে বসে সিম চালু করার সহজ উপায়

👉 প্রথমে ফোন থেকে সিম খুলে পরিষ্কার করে পুনরায় লাগান।
👉 এরপর Settings → Backup & Reset → Network Reset Settings-এ যান।
👉 যে সিমটি ব্যবহার করছেন সেটি সিলেক্ট করে “Reset Settings”-এ ক্লিক করুন।
👉 এখন ফোনটি Reboot/Restart করুন।
👉 ফোন চালু হলে নেটওয়ার্ক ফিরে আসবে। যদি না আসে, তাহলে সামান্য রিচার্জ করে দেখুন।

এরপরও কাজ না করলে কী করবেন

যদি সিম এখনও সাড়া না দেয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার-এ কল দিন (অন্য একটি সক্রিয় সিম ব্যবহার করে)।
কলের সময় আপনার এনআইডি, নাম, জন্মতারিখ ও বন্ধ সিমের নম্বর হাতে রাখুন।
কাস্টমার কেয়ার যাচাই করে জানাবে, আপনার সিমটি পুনরায় চালু করা সম্ভব কি না।

সিম রিপ্লেস করলেই সমাধান

যদি সিমটি কোম্পানির নামে বিক্রি না হয়ে থাকে, তাহলে “সিম রিপ্লেস” করে আগের নাম্বারেই নতুন সিম পাবেন।
এতে আপনার বিকাশ, রকেট, ব্যাংক একাউন্টসহ সব সংযোগ অক্ষুণ্ণ থাকবে—শুধু পুরোনো সিম কার্ডটি নতুন করে তুলে নিতে হবে।

কত টাকা লাগবে?

অফিশিয়ালি সিম রিপ্লেসের খরচ ৩৫০ টাকা, তবে দোকানভেদে ভাড়া ও সার্ভিস চার্জসহ ৪০০ টাকাও লাগতে পারে।

সারসংক্ষেপ

১৫ মাসের কম সময় বন্ধ থাকলে নিজেই চালু করা যায়।

১৫ মাসের বেশি হলে কাস্টমার কেয়ার বা অফিসে গিয়ে রিপ্লেস করতে হয়।

রিপ্লেসের পর পুরোনো নাম্বার ও অ্যাকাউন্ট সব আগের মতোই থাকবে।

সতর্ক থাকুন: আপনার এনআইডি দিয়ে রেজিস্টার করা সিম ব্যবহারে থাকুন। এতে বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে।